২৮ মার্চ, ২০১৯, বনানীর এফআর টাওয়ারের আগুন নেভানোর প্রাণান্ত চেষ্টা
২৮ মার্চ, ২০১৯, আগুন নেভানোর প্রাণান্ত চেষ্টা করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ভূমিককম্পে রাজধানীতে কমপক্ষে ১৫টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।  এর মধ্যে বনানীর এফআর টাওয়ার অন্যতম।

সেই পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভূমিকম্প থেমে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায় তারা ৯টি ভবন হেলে পড়া ও ফাটল দেখা দেয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন এবং সরেজমিন অনুসন্ধান করেছেন।  এর বাইরে আরও অন্তত ৬টি ভবন হেলে পড়া ও ফাটল দেখা দেয়ার খবর স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।  অবশ্য ফায়ারসার্ভিস সেগুলোর ব্যাপারে নিশ্চিত করেনি। 

ওই সময় পুরান ঢাকারলালবাগের ইসলামবাগে বাসিন্দাদের নামিয়ে একটি ৫তলা ভবন সিলগালা করে দেয়া হয়।  এছাড়া বংশালে বরিশাল প্লাজার পাশে একটি ৬ তলা ভবনে ফাটল দেখা দেয়।  

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দেওয়া  তথ্য মোতাবেক, হেলেপড়া ৬টি ভবন হচ্ছে- মোহাম্মদপুরের ২৩/৩, খিলজি রোডে আশা টাওয়ার, বনানীতে ইফাদ টাওয়ার, এফআর টাওয়ার, বনানীর ১৭ নম্বর সড়কের ২৭ নম্বর বাড়ি- হোটেল (আবাসিক) সেরিনা টাওয়ার, মিরপুরের ডায়মন্ড গার্মেন্টস, নবাবপুর রোডের একটি ৬ তলা ভবন।

এফআর টাওয়ার ও রূপায়ন গ্রুপ নিয়ে এক চুমুক

এছাড়া তেজগাঁও, কুড়িল বিশ্বরোড ও গুলশান দুই নম্বরে আরও ৩টি ভবন হেলে পড়ে।  মগবাজারে একটি ভবনের দেয়ালে ফাটল ও শাঁখারী বাজারে আরও একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  

তবে এসব ভবনের ব্যাপারে পরবর্তীতে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।  এখন ১৯ জন মানুষের প্রাণহানির পর জানা যাচ্ছে, সেই এফআর টাওয়ারটি ১৬ তলার অনুমোদন নিয়ে ২২ তলা বানানো হয়েছে।  সেখানে আগুন নিভানোর মতো যথেষ্ট ব্যবস্থা ছিল না।  ইমার্জেন্সি একজিটগুলোর বেশিরভাগই ছিল তালাবদ্ধ।